ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

‘মালয়েশিয়া চলে এসেছি তাড়াতাড়ি নেমে যাও’ প্রতারিত ১৪ রোহিঙ্গাকে ক্যাম্পে ফেরত

টেকনাফ প্রতিনিধি ::   টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে দালাল (মানবপাচারকারী) দ্বারা প্রতারণার শিকার মালয়েশিয়াগামী ১৪ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে গ্রেপ্তার করেছে বিজিবি। তাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী। ৬ নভেম্বর দুপুরে এসব রোহিঙ্গাকে স্ব স্ব ক্যাম্পে প্রেরণ করা হয়েছে।
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. আয়ুব আলী নামে একজন দালাল এদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০ হাজার করে টাকা নিয়ে মালয়েশিয়া নিয়ে যাচ্ছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গারা জানিয়েছে। আটককৃত রোহিঙ্গারা হলেন, জামতলী শরণার্থী ক্যাম্পের মৃত নুরুল আলমের পুত্র মোহাম্মদ ইয়াছিন (২২), বালুখালী শরণার্থী ক্যাম্পের মো. সালামের পুত্র মো. ইসলাম (২৬), থাইংখালী শরনার্থী ক্যাম্পের মো. শফিকের পুত্র মো. খায়রুল আমীন (১৮), থাইংখালী শরণার্থী ক্যাম্পের মোহাম্মদ আলীর পুত্র মো. রহিমুল্লাহ (১৬), থাইংখালী ক্যাম্পের মৃত ইমান হোসেনের পুত্র মো. জাকের আহাম্মেদ (১৯), কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের মৃত আবুল কাসেমের পুত্র মোঃ ছাইদুল আমীন (১৯), কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের মৃত আবুল কাসেমের পুত্র মো. সুলতান (৪৫), কুতুপালং শরণার্থী

ক্যাম্পের মৃত কামালের পুত্র মো. ফরিদুল আলম (১৮), টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র মো. হোসেন (১৭), থাইংখালী শরনার্থী ক্যাম্পের মো. আব্দুর রবের কন্যা মোছাম্মৎ নুর বাহার (১৮), বালুখালী ক্যাম্পের মৃত আব্দুর গফুরের কন্যা মোছাম্মৎ বিবি খদিজা (১৮), কুতুপালং মধুছড়া শরণার্থী ক্যাম্পের মৃত আবুল কাশেমের কন্যা মোছাম্মৎ খোরশিদা বেগম (১৬), কুতুপালং মধুছড়া ক্যাম্পের মো. নুর ছালামের কন্যা মোছাম্মৎ রফিজা (১৮), থাইংখালী শরণার্থী ক্যাম্পের সৈয়দ কালামের মেয়ে মোছাম্মৎ আনোয়ারা বেগম (১৮)।
গতকাল ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় টেকনাফ-২ বিজিবি সদর দপ্তর থেকে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ‘৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ বিজিবির অধীনস্থ শাহপরীর দ্বীপ বিওপিতে কর্মরত সুবেদার মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টহল দল শাহপরীর দ্বীপস্থ গোলারচর দক্ষিণপাড়া সাগর তীর হতে মালয়েশিয়াগামী ১৪ জন (৯ জন পুরুষ এবং ৫ জন মহিলা) রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করতে সক্ষম হয়। তারা দালালের মাধ্যমে গত ২ নভেম্বর রাত ১১টায় টেকনাফের কচুবনিয়া এলাকা দিয়ে মালয়েশিয়া গমনের জন্য নৌকাযোগে রওয়ানা করে। পরবর্তীতে ৫ নভেম্বর রাত ১১টা ২০ মিনিটে দালালচক্র তাদেরকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ গোলারচরে নামিয়ে দিয়ে অতিদ্রুত গভীর সমুদ্রে চলে যায়। নামানোর পূর্বে তাদেরকে বলে যে, ‘মালয়েশিয়া চলে এসেছি এখন তাড়াতাড়ি নেমে যাও।’
উক্ত রোহিঙ্গারা উখিয়া উপজেলার থাইংখালী, বালুখালী, কুতুপালং, টেকনাফের নয়াপাড়া, উখিয়ার জামতলী, মধুছড়া ও কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করতেন এবং তাদের নিবন্ধন কার্ড রয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি/৫ ব্লকের মো. আইয়ুব আলী (৪০) (মোবাইল নম্বর ০১৮৫০-৪৮৮১৭৬) তাদের নিকট হতে ১০ হাজার করে টাকা গ্রহণপূর্বক মালয়েশিয়া নিয়ে যাচ্ছিল। আটক রোহিঙ্গা নাগরিকদের গতকাল দুপুর সোয়া ১টায় সংশ্লিষ্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রেরণ করা হয়েছে’।

পাঠকের মতামত: